Sri Narasimha Chaturdashi Vrat
শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত
📕 ভগবান (কৃষ্ণ) তার পরম প্রিয় ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষা করার জন্য নৃসিংহ অবতার রূপে আবির্ভূত হন। এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেন।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের, চতুর্দশী তিথির গোধূলি লগ্নে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই একে নৃসিংহ চতুর্দশী বলে।
কীভাবে ব্রত পালন করবো?
১. ব্রতের আগের ও পরের দিন আমিষাহার বর্জন করতে হবে।
২. চা, পান, বিড়ি, কফি প্রভৃতি নেশাদ্রব্য বর্জন করতে হবে।
৩. সকল প্রকার দ্যুত ক্রিয়া, জোয়া খেলা বর্জন করতে হবে।
৪. অবৈধ স্ত্রীসঙ্গ বর্জন করতে হবে।
৫. মঙ্গলআরতি সহ অন্যান্য আরতি করতে হবে।
৬. অধিক হরিনাম জপ করতে হবে।
৭. ভগবানের চরণে তুলসী ও ফুল অর্পণ করতে হবে।
৮. নৃসিংহ স্তব, শতনাম / শহস্রনাম, কবজমন্ত্র পাঠ বা শ্রবণ করতে হবে।
৯. নৃসিংহদেবের লীলা মহিমা শ্রবণ বা পাঠ করতে হবে।
১০. গীতা, ভাগবতম ইত্যাদি গ্রন্থ পাঠ বা শ্রবণ করতে হবে।
উপবাস বিধিঃ
সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস। যেহেতু গোধূলি লগ্নে ভগবান আবির্ভূত হয়েছিলেন সেহেতু গোধূলি লগ্ন বা সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস করতে হবে। এরপর একাদশীর মতো অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করে,পরদিন (১২ মে) সকালে সূর্য উদয়ের পর পারণ করতে হবে।
তবে যদি কেউ সম্পূর্ণ দিন নির্জলা উপবাস করতে চায়, সেটিও করতে পারবেন।
যারা শারীরিক সমস্যার কারণে নির্জলা উপবাস থাকতে পারবেন না, তারা ভগবানের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফলমূল খেয়ে ব্রত পালন করতে পারবেন।
সন্ধ্যা বেলায় নৃসিংহদেবের বিশেষ অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক দর্শন বা অভিষেক করে নির্জলা উপবাস বিধি সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর কিন্তু অন্ন বা পঞ্চ রবিশস্য খাওয়া যাবে না। ফল মূল খেয়ে থেকে যেতে হবে। কারণ পারণ হচ্ছে পরদিন সকালে।
বিঃ দ্রঃ
১. অভিষেক দর্শন বা অভিষেক করা উভয়ই সমান ফলপ্রসু। তাই মোবাইলেও দর্শন করতে পারবেন।
২. অশৌচ অবস্থাতেও উপবাস ব্রত পালন, জপ, গীতা / ভাগবতম পাঠ, ভগবানের গুন লীলা মহিমা পাঠ বা শ্রবণ করা যায়।
কীভাবে ব্রতের সংকল্প করবো?
ব্রতের দিন (১১ মে) ভোরে প্রাতঃস্নান করে, শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান ও তীলক আচমণ করে নৃসিংহদেবের নিকট প্রার্থনা করতে হবে।
হে শ্রীনৃসিং হ! হে মহাভীম! আমার উপর দয়া প্রকাশ করুন। আজ আমি আপনার ব্রত আচরণ করিব, নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করুন।
🪷 শ্রী নৃসিংহ লীলা মহিমা🪷
🌺হিরণ্যকশিপু কঠোর তপস্যা করেন এবং ব্রহ্মা সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দর্শন দেয় ও তখন সে ব্রহ্মার কাছে বর চাইলেন,অমরত্ব বর। কিন্তু ব্রহ্মা বললেন- হে হিরণ্যকশিপু! তুমি যে বর চেয়েছো, সেটা আমি দিতে পারবো না। কারণ আমি নিজেই অমর না, তাই তুমি এমন বর চাও যা আমি দিতে পারবো। তখন হিরণ্যকশিপু চিন্তা করলো আমি কি এমন বর চাইবো যাতে আমাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, তখন হিরণ্যকশিপু বর চাইতে লাগলেন যে, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা! আপনি যদি আমার অভীষ্ট বরই দান করতে চান, তবে এই বর দেন যাতে আপনার সৃষ্টির কোনো প্রাণী বা পথে, ঘাটে, দিনের বেলা, রাতের বেলা, ঘরে, বাইরে, জল, ভূমি, বা আকাশে, কোনও পশু বা কোনো অস্ত্রের দ্বারা, এসবের দ্বারা আমাকে বধ করতে না পারে বা ব্যাধিগ্রস্ত বা জরাগ্রস্ত না হই। ব্রহ্মা বললেন, তথাস্তু! তারপর শুরু হলো হিরণ্যকশিপুর অত্যাচার দেবতাদের ওপর। তখন ভগবানের লীলা শুরু হল তাঁর শুদ্ধ ভক্তের ম্যাধমে প্রহ্লাদ মহারাজ। তাই ভগবানের ভক্ত আবির্ভূত হয়ে প্রহ্লাদ মহারাজ ভগবানের আরাধনা করছিল, তখন তাঁর পিতা তাঁকে বলত লাগলো,"তোমার ভগবান, কে???" সে বলতেন,আমার ভগবান বিষ্ণু , তখন হিরণ্যকশিপু ক্ষিপ্ত হয়ে বলতে লাগলো যে, আমি তোমার জন্মদাতা পিতা তাই আমি তোমার ভগবান! কিন্তু প্রহ্লাদ মহারাজ বললো- না! তুমি আমার ভগবান না, আমার ভগবান বিষ্ণু।তিনি জগতপালক শ্রীহরি। তিনি জগতের পিতা ও বিধাতা। তুমি তো কেবল আমার এই জড় জগতের পিতা কিন্তু ভগবান আমার নিত্য পিতা। তখন হিরণ্যকশিপু তার ছেলেকে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়, হাতির পায়ের নিচে দেয়, জলন্ত অগ্নিতে নিহ্মেপ করে, আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু তার প্রভু ভগবান বিষ্ণুকে স্মরণ করতে থাকে। কথায় আছে না, "মারে কৃষ্ণ রাখে কে, রাখে কৃষ্ণ মারে কে" - ভগবান যদি চায় তাহলে পৃথিবীর কোন শক্তি তাকে হত্যা করতে পারবে না। তাই যখন কোন কিছুর দ্বারা সম্ভব হলোনা তখন প্রহ্লাদ মহারাজ কে কারাগারে নিহ্মেপ করল, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখলো আর মারতে লাগলো আর প্রহ্লাদ মহারাজ শুধু শ্রীহরিকে ডাকতে লাগলো। তখন হিরণ্যকশিপু এসে বললো- আজ তোকে কে বাঁচায় দেখি তোর ভগবান কোথায়? তখন বৈকুণ্ঠধামে মা লক্ষ্মীদেবী বললো- হে প্রভু! এখন কি হবে প্রহ্লাদ মহারাজকে কে রক্ষা করবে? হিরণ্যকশিপু তো অমরত্বের মতো বর লাভ করেছে, তাকে কে হত্যা করবে? তোমার ভক্তকে রক্ষা করবে কে? তখন ভগবান বলেন যে অমরত্বের মত বর পেয়েছে কিন্তু অমর না আর প্রহল্লাদকে রক্ষা করবে তাঁর ভক্তি। তাঁর ভক্তিই তাঁকে হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে রক্ষা করবে। তখন হিরণ্যকশিপুর বললো- তোর ভগবান কি এখানে আছে?
প্রহ্লাদ বললো- হ্যাঁ! আমার প্রভু সর্বত্রই বিরাজমান এখানেও আছে, এই বলে হিরণ্যকশিপুর সে ঘরের চৌকাঠের স্তম্ভ আঘাত করতে লাগে। তখন হঠাৎ সে স্তম্ভ থেকে বের হয়ে আসে ভক্তের ভগবান নৃসিংহদেব ।
হিরণ্যকশিপুর বর অনুসারে, তাকে বধ করতে লাগলেন, সে ঘরেও না, বাইরেও না,তাই ঘরের চৌকাঠে কোন নর না, পশুও না, কোন অস্ত্রের দ্বারা না, সকালে না রাতেও না, জলেও না, মাটিতেও না, আকাশেও না, অর্ধেক পশু ও মানুষ নরসিংহ রূপে গোধূলি লগ্নে (অর্ধেক দিন ও রাত মানে সন্ধ্যায়) নখের দ্বারা বধ করা হয়েছে। ভক্তের ডাকে ভগবান তাঁর ভক্তকে যেকোন উপায়ে রক্ষা করে। এমন কি ভগবানের এই রুপ দেখে দেবতারা ও ব্রহ্মাণ্ডও কেপে ওঠে। এ কি রুপ হঠাৎ এই রুপের আবির্ভাব কেউ বুঝতে পারেনি।
ভগবানের এই রুপকে দেবতারাও পর্যন্ত শান্ত করতে পারেনি। তখন দেবতারা বললো - একমাত্র একজন পারে সে হল,তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদ তখন প্রহ্লাদ প্রভুর কাছে স্তব, প্রার্থনা করতে লাগে। তখন ভগবান ভক্তের প্রার্থনাই শান্ত হয় ও তাকে কোলে তুলে নেয় ও ভগবান বলে হে ভক্ত প্রহল্লাদ! আমি তোমাকে দর্শন দিয়েছি এখন তুমি কি বর চাও প্রার্থনা করো আমার কাছে। আমি তোমাকে বর দেবো। তখন ভক্তের কি আর কিছু চাওয়ার আছে, যে জগতের প্রভু তার সামনে তবুও ভগবান বললো তুমি একটা বর চাও যেহেতু আমি তোমার সামনে প্রকট হয়েছি। তখন ভক্ত প্রহ্লাদ বলতে লাগলো- প্রভু! তুমি আমার পিতাকে মুক্তি দাও যেহেতু তিনি আমার জড়জগতে পিতা। তখন ভগবান বললো- হে ভক্ত প্রহ্লাদ তথাস্তু! কিন্তু তোমার শুধু এই পিতাই
মুক্তি লাভ করবে না, যে গৃহে তোমার মত শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্ত আছে, তার ২১কূল উদ্ধার হবে, পিতৃকূলের ১০ কূল,মাতৃকূলের ১০কূল ও নিজের এক কূল মুক্তি লাভ করবে। এই নৃসিংহ ব্ৰত যে পালন করবে, তারা জন্ম-মৃত্যুময় সংসারে থেকে রক্ষা পাবে।
আর যিনি ব্রতদিন ব্রত লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে।
🌺“শ্রীনৃসিংহ অষ্টোত্তরশত নাম”
১) ওঁ নরসিংহায় নমঃ
২) ওঁ মহাসিংহায় নমঃ
৩) ওঁ দিব্যসিংহায় নমঃ
৪) ওঁ মহাবলায় নমঃ
৫) ওঁ উগ্রসিংহ্যায় নমঃ
৬) ওঁ মহাদেবায় নমঃ
৭) ওঁ স্তম্ভজায় নমঃ
৮) ওঁ উগ্রলোচনায় নমঃ
৯) ওঁ রৌদ্রায় নমঃ
১০) ওঁ সর্বাদ্ভুতায় নমঃ
১১) ওঁ শ্রীমতে নমঃ
১২) ওঁ যোগানন্দায় নমঃ
১৩)ওঁ ত্রিবিক্রমায় নমঃ
১৪) ওঁ হরয়ে নমঃ
১৫) ওঁ কোলাহলায় নমঃ
১৬) ওঁ চক্রিনে নমঃ
১৭) ওঁ বিজয়ায় নমঃ
১৮) ওঁ জয়বর্ধনায় নমঃ
১৯) ওঁ মহানন্দায় নমঃ
২০) ওঁ পঞ্চকাননায় নমঃ
২১) ওঁ পরব্রহ্মণে নমঃ
২২) ওঁ অঘোরায় নমঃ
২৩) ওঁ ঘোরবিক্রমায় নমঃ
২৪) ওঁ জ্বলন্মুখায় নমঃ
২৫) ওঁ মহোজ্বলায় নমঃ
২৬) ওঁ জ্বলমালিনে নমঃ
২৭) ওঁ মহাপ্রভবে নমঃ
২৮) ওঁ নীতলাক্ষায় নমঃ
২৯) ওঁ সহস্রাক্ষায় নমঃ
৩০) ওঁ দুর্নিরীক্ষায় নমঃ
৩১) ওঁ প্রতাপনায় নমঃ
৩২) ওঁ মহাদংষ্ট্রায়ুধায় নমঃ
৩৩) ওঁ প্রজ্ঞায় নমঃ
৩৪) ওঁ চন্ডকোপিনে নমঃ
৩৫) ওঁ সদাশিবায় নমঃ
৩৬) ওঁ হিরণ্যকশিপুধ্বংসিনে নমঃ
৩৭) ওঁ দৈত্যদানবভঞ্জনায় নমঃ
৩৮) ওঁ গুণভদ্রায় নমঃ
৩৯) ওঁ মহাভদ্রায় নমঃ
৪০) ওঁ বলভদ্রায় নমঃ
৪১) ওঁ করালায় নমঃ
৪২) ওঁ বিকরালায় নমঃ
৪৩) ওঁ বিকর্তে নমঃ
৪৪) ওঁ সর্বকর্তৃকায় নমঃ
৪৫)ওঁ শিশুমারায় নমঃ
৪৬) ওঁ ত্রিলোকাত্মনে নমঃ
৪৭) ওঁ ঈশায় নমঃ
৪৮) ওঁ সর্বেশ্বরায় নমঃ
৪৯) ওঁ বিভবে নমঃ
৫০) ওঁ ভৈরবডম্বরায় নমঃ
৫১) ওঁ দিব্যায় নমঃ
৫২) ওঁ অচ্যুতায় নমঃ
৫৩) ওঁ মাধবায় নমঃ
৫৪) ওঁ অধোক্ষজায় নমঃ
৫৫) ওঁ অক্ষরায় নমঃ
৫৬) ওঁ সর্বায় নমঃ
৫৭) ওঁ বনমালিনে নমঃ
৫৮) ওঁ বরপ্রদায় নমঃ
৫৯) ওঁ বিশ্বম্ভরায় নমঃ
৬০) ওঁ অদ্ভুতায় নমঃ
৬১) ওঁ ভব্যায় নমঃ
৬২) ওঁ শ্রীবিষ্ণবে নমঃ
৬৩) ওঁ পুরুষোত্তমায় নমঃ
৬৪)ওঁ অনঘাস্ত্রায় নমঃ
৬৫) ওঁ নখাস্ত্রায় নমঃ
৬৬) ওঁ সূর্যজ্যোতিষে নমঃ
৬৭) ওঁ সুরেশ্বরায় নমঃ
৬৮) ওঁ সহস্রবাহবে নমঃ
৬৯) ওঁ সর্বজ্ঞায় নমঃ
৭০) ওঁ সর্বসিন্ধিপ্রদায়কায় নমঃ
৭১) ওঁ বজ্রদংষ্টায় নমঃ
৭২) ওঁ বজ্রনখায় নমঃ
৭৩) ওঁ পরন্তপায় নমঃ
৭৪) ওঁ সর্বমন্ত্রৈকরূপায় নমঃ
৭৫) ওঁ সর্বযন্ত্রাত্মকায় নমঃ
৭৬) ওঁ সর্বযন্ত্রবিদারকায় নমঃ
৭৭) ওঁ অব্যক্তায় নমঃ
৭৮) ওঁ সুব্যক্তায় নমঃ
৭৯) ওঁ ভক্তবৎসলায় নমঃ
৮০) ওঁ বৈশাখশুক্লোদ্ভুত্যায় নমঃ
৮১) ওঁ শরণাগত বৎসলায় নমঃ
৮২) ওঁ উদারকীর্তয়ে নমঃ
৮৩) ওঁ পূন্যাত্মনে নমঃ
৮৪) ওঁ মহাত্মনে নমঃ
৮৫) ওঁ চন্ডবিক্রমায় নমঃ
৮৬) ওঁ বেদত্রয় প্রপূজ্যায় নমঃ
৮৭) ওঁ ভগবতে নমঃ
৮৮) ওঁ পরমেশ্বরায় নমঃ
৮৯) ওঁ শ্রীবৎসাঙ্কায় নমঃ
৯০) ওঁ শ্রীনিবাসায় নমঃ
৯১) ওঁ জগদ্ ব্যাপিনে নমঃ
৯২) ওঁ জগন্মায় নমঃ
৯৩) ওঁ জগতপালায় নমঃ
৯৪) ওঁ জগন্নাাথায় নমঃ
৯৫) ওঁ মহাকায়ায় নমঃ
৯৬) ওঁ দ্বিরূপভৃতে নমঃ
৯৭) ওঁ পরমাত্মনে নমঃ
৯৮) ওঁ পরংজ্যোতিষে নমঃ
৯৯) ওঁ নির্গুনায় নমঃ
১০০) ওঁ নৃকেশরীণে নমঃ
১০১) ওঁ পরমাত্মায় নমঃ
১০২) ওঁ পরতত্ত্বায় নমঃ
১০৩) ওঁ পরমধান্মে নমঃ
১০৪) ওঁ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহায় নমঃ
১০৫) ওঁ সর্বাত্মনে নমঃ
১০৬) ওঁ ধীরায় নমঃ
১০৭) ওঁ প্রহ্লাদপালকায় নমঃ
১০৮) ওঁ লক্ষ্মীনৃসিংহায় নমঃ