কীভাবে ব্রত পালন করবো?

কীভাবে ব্রত পালন করবো?

 

১. ব্রতের আগের ও পরের দিন আমিষাহার বর্জন করতে হবে।

২. চা, পান, বিড়ি, কফি প্রভৃতি নেশাদ্রব্য বর্জন করতে হবে।

৩. সকল প্রকার দ্যুত ক্রিয়া, জোয়া খেলা বর্জন করতে হবে।

৪. অবৈধ স্ত্রীসঙ্গ বর্জন করতে হবে।

৫. মঙ্গলআরতি সহ অন্যান্য আরতি করতে হবে।

৬. অধিক হরিনাম জপ করতে হবে।

৭. ভগবানের চরণে তুলসী ও ফুল অর্পণ করতে হবে।

৮. নৃসিংহ স্তব, শতনাম / শহস্রনাম, কবজমন্ত্র পাঠ বা শ্রবণ করতে হবে।

৯. নৃসিংহদেবের লীলা মহিমা শ্রবণ বা পাঠ করতে হবে।

১০. গীতা, ভাগবতম ইত্যাদি গ্রন্থ পাঠ বা শ্রবণ করতে হবে।


উপবাস বিধিঃ 

সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস। যেহেতু গোধূলি লগ্নে ভগবান আবির্ভূত হয়েছিলেন সেহেতু গোধূলি লগ্ন বা সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্জলা উপবাস করতে হবে। এরপর একাদশীর মতো অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করে,পরদিন (১২ মে) সকালে সূর্য উদয়ের পর পারণ করতে হবে। 

তবে যদি কেউ সম্পূর্ণ দিন নির্জলা উপবাস করতে চায়, সেটিও করতে পারবেন।

যারা শারীরিক সমস্যার কারণে নির্জলা উপবাস থাকতে পারবেন না, তারা ভগবানের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফলমূল খেয়ে ব্রত পালন করতে পারবেন। 


সন্ধ্যা বেলায় নৃসিংহদেবের বিশেষ অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়। অভিষেক দর্শন বা অভিষেক করে নির্জলা উপবাস বিধি সম্পন্ন করতে পারবেন। এরপর কিন্তু অন্ন বা পঞ্চ রবিশস্য খাওয়া যাবে না। ফল মূল খেয়ে থেকে যেতে হবে। কারণ পারণ হচ্ছে পরদিন সকালে। 


বিঃ দ্রঃ 

১. অভিষেক দর্শন বা অভিষেক করা উভয়ই সমান ফলপ্রসু। তাই মোবাইলেও দর্শন করতে পারবেন।

২. অশৌচ অবস্থাতেও উপবাস ব্রত পালন, জপ, গীতা / ভাগবতম পাঠ, ভগবানের গুন লীলা মহিমা পাঠ বা শ্রবণ করা যায়।


কীভাবে ব্রতের সংকল্প করবো?

ব্রতের দিন (১১ মে) ভোরে প্রাতঃস্নান করে, শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান ও তীলক আচমণ করে নৃসিংহদেবের নিকট প্রার্থনা করতে হবে।

হে শ্রীনৃসিং হ! হে মহাভীম! আমার উপর দয়া প্রকাশ করুন। আজ আমি আপনার ব্রত আচরণ করিব, নির্বিঘ্নে সম্পূর্ণ করুন।

Popular posts from this blog

শ্রীগুরু বন্দনা

প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ

শ্রীশ্রীগৌর-আরতি