হেদে হে নাগরবর শুন হে মুরলীধর

হেদে হে নাগরবর শুন হে মুরলীধর


হেদে হে নাগরবর, শুন হে মুরলীধর, 

নিবেদন করি তুয়া পায়। 

চরণ-নখর-মণি, যেন চাঁদের গাঁথনি, 

ভাল শোভে আমার গলায়।। 

শ্রীদাম-সুদাম-সঙ্গে, যখন বনে যাও রঙ্গে, 

তখন আমি দুয়ারে দাঁড়ায়ে। 

মনে বলে সঙ্গে যাই, গুরুজনার ভয় পাই, 

আঁখি রহে তুয়া পানে চেয়ে।। 

তুয়া বঁধু পড়ে মনে, চাই বৃন্দাবনপানে, 

এলাইলে কেশ নাহি বাঁধি। 

রন্ধনশালাতে যাই, তুয়া বঁধু গুণ গাই, 

ধোঁয়ার ছলনা করি কান্দি।। 

মণি নও, মানিক নও, আঁচলে বাঁধিলে রও, 

ফুল নও যে কেশে করি বেশে। 

নারী না করিত বিধি, তুয়া হেন গুণনিধি, 

লইয়া বেড়াতাম দেশে দেশে।। 

অগুরু চন্দন হইতাম, তুয়া অঙ্গে মাখা রইতাম,

ঘামিয়া পড়িতাম তুয়া পায়। 

কি মোর মনের সাধ, বামন হ'য়ে চাঁদে হাত, 

বিধি কি পূরাবে সাধ আমার।।

নরোত্তমদাস কয়, শুন ওহে দয়াময়, 

তুমি আমায় না ছাড়িহ দয়া। 

যে-দিন তোমার ভাবে, আমার পরাণ যাবে,

সেই দিন দিও পদছায়া।।

Popular posts from this blog

শ্রীগুরু বন্দনা

প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ

শ্রীশ্রীগৌর-আরতি