ওহে প্রেমের ঠাকুর গোরা!
ওহে প্রেমের ঠাকুর গোরা!
ওহে প্রেমের ঠাকুর গোরা!
প্রাণের যাতনা কিবা ক'ব নাথ!
হ'য়েছি আপন হারা ।।
কি আর বলিব যে কাজের তরে,
এনেছিলে নাথ! জগতে আমারে,
এতদিন পরে কহিতে সে কথা
খেদে দুঃখে হই সারা।
তোমার ভজনে না জন্মিল রতি,
জড় মোহে মত্ত সদা দুরমতি,
বিষয়ীর কাছে থেকে থেকে আমি,
হইনু বিষয়ী পারা ।।
কে আমি কেন যে এসেছি এখানে,
সে কথা কখনো নাহি ভাবি মনে,
কখনো ভোগের, কখনো ত্যাগের
ছলনায় মন নাচে।
কি গতি হইবে কখনো ভাবি না,
হরি ভকতের কাছেও যাই না,
হরি-বিমুখের কুলক্ষণ যত
আমাতেই সব আছে ।।
শ্রীগুরুকৃপায় ভেঙ্গেছে স্বপন,
বুঝেছি এখন তুমিই আপন,
তব নিজজন পরম বান্ধব,
সংসার-কারাগারে।
আন না ভজিব ভক্ত-পদবিনু,
(এ) রাতুল চরণে শরণ-লইনু,
উদ্ধারহ' নাথ! মায়াজাল হ'তে
এদাসের কেশে ধ'রে ।।
পাতকীরে তুমি কৃপা কর নাকি?
জগাই মাধাই ছিল যে পাতকী,
তাহাতে জেনেছি, প্রেমের ঠাকুর।
পাতকীরে তার' তুমি ।।
আমি ভাগ্যহীন, দীন অকিঞ্চন
অপরাধি-শিরে দাও দু'চরণ।
তোমার অভয় শ্রীচরণে চির
শরণ লইলু আমি ।।