আলু পরোটা

 আলু পরোটা (১০ খানা)

যমুনাদেবী দাসী একদিন পুরাতন দিল্লীর পরোটাগলিতে বাজার করতে গিয়ে পারাটাওয়ালাদের পরোটা তৈরী করতে দেখে এই পরোটাটি শিখে নেন। পরে তিনি যখন শ্রীল প্রভুপাদকে তা করে দেন, তখন প্রভুপাদ জানতে চেয়েছিলেন যে, কোথা থেকে তিনি (যমুনাদেবী) তা শিখেছেন। যমুনাদেবীর মুখ থেকে সব কথা শুনে শ্রীল প্রভুপাদ বলেছিলেন যে, একজন পর্যবেক্ষণশীল পাচক শুধুমাত্র দর্শন এবং শ্রবণের মাধ্যমেই রান্নার বিভিন্ন পদ শিখতে পারেন। শ্রীল প্রভুপাদ নিজেও তাঁর মা, মাসী এবং ফেরিওয়ালাদের রান্না করা দেখে অনেক রান্না শিখেছিলেন। এই আলু পরোট।এটি যমুনাদেবীর অন্যতম প্রিয় পরোটা।

রুটি তৈরির উপকরণ: 

  • ৪ কাপ আটা; 
  • কিংবা ২/৩ কাপ আটা এবং ১/৩ কাপ ময়দার মিশ্রণ; 
  • আধ টেবল চামচ নুন; 
  • ১/৩ কাপ তরল ঘি; 
  • ১/৩ কাপ গরম জল; 
  • বেলার জন্য কিছু শুকনো আটা।

পুর তৈরির উপকরণ: 

  • ২ টেবল চামচ ঘি; 
  • আধ টেবল চামচ আদা কুচি; 
  • আধ টেবল চামচ কাঁচা লঙ্কার কুচি, 
  • আধ টেবল চামচ জিরা; 
  • আড়াই কাপ সিদ্ধ করা আলু (খোসা ছাড়িয়ে চটকানো); 
  • আধ টেবল চামচ ধনে গুঁড়া; 
  • ছোট সিকি চামচ সিমলা মরিচের গুঁড়া; 
  • ছোট আধ চামচ হলুদ; 
  • আধ টেবল চামচ নুন; 
  • ১ টেবল চামচ লেবুর রস; 
  • ছোট ২ চামচ গুড়; 
  • ৩ টেবল চামচ ধনেপাতা কুচি; 
  • ১/২ কাপ তরল ঘি।

প্রস্তুত পদ্ধতি:

১। আটা, নুন এবং ঘি একসঙ্গে মাখুন। পরিমাণ মতো ঠিক রেখে, প্রথম দিকে জল একটু বেশি করে ঢালুন এবং শেষ দিকে খুব সতর্কভাবে অল্প অল্প জল ঢেলে খুব করে মাখামাখি করুন। একটি নমনীয় তাল বানিয়ে ৩ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।

২। একটি কড়াইতে মাঝামাঝি আঁচে ঘি গরম করে তাতে আদাকুচি, কাঁচা লঙ্কা এবং জিরার ফোড়ন দিন। ফোড়ন বাদামী বর্ণ ধারণ করলে তাতে চটকানো আলু, ধনের গুঁড়া, সিমলা মরিচের গুঁড়া হলুদ, নুন, লেবুর রস, গুড় এবং ধনেপাতা মেশান। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হলে ১০ খানা বল করুন।

৩। আটার তালটি পুনরায় মাখামাখি করে ২০ খানা বল তৈরী করুন। তা থেকে মসৃণ এবং সমান আয়তনের ২০ খানা গোল চাপাটি তৈরী করুন। বেলার সময় অল্প করে শুকনো আটা চাপাটির দুপাশে মাখিয়ে নেবেন। এবং বেলা হয়ে গেলে চাপাটির গায়ে লেগে থাকা শুকনো আটা ঝেড়ে ফেলে দেবেন।

৪। এবার একটি চাপাটি নিন। তার কিনারে চারপাশে একটু করে জল মাখিয়ে নিন। মাঝখানে সমতলভাবে আলুপুর বিছিয়ে দিন। দ্বিতীয় একটি চাপাটি নিয়ে তার উপর বিছিয়ে আলতোভাবে চেপে চেপে ভেতরের বাতাস বের করে ধারের দিকে টিপে টিপে জুড়ে দিন। যদি দুটো চাপাটি সমান মাপের না হয়, ছুরি দিয়ে কিনার থেকে কেটে সমান করে নিতে পারেন। একইভাবে ১০ খানা পরোটা তৈরী করুন।

৫। তাওয়া গরম করুন। একটু করে ঘি ছিটিয়ে দিন। একটা-একটা করে পরোটা ভাজতে থাকুন। মাঝে মাঝে ঘি ছিটাবেন এবং পাশ ফিরিয়ে হাতা দিয়ে আলতোভাবে চেপে ধরবেন। দুপাশে বাদামীবর্ণ ধারণ করলে নামিয়ে শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করুন।

Popular posts from this blog

শ্রীগুরু বন্দনা

প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ

শ্রীশ্রীগৌর-আরতি