ফুলকপি পরোটা

 ফুলকপি পরোটা (৫ খানা)

আলু পরোটা, ফুলকপি পরোটা ইত্যাদি পুর ভরা পরোটাগুলি একই নিয়মে তৈরী - করা হয়, শুধু বিভিন্ন প্রকার পুরের ব্যবহারের মাধ্যমে তাতে অনেক বৈচিত্রা সৃষ্টি করা হয়। মশলাযুক্ত চটকানো আলুসিদ্ধ থেকে শুরু করে, গাজর কুচি, ফুলকপি কুচি, চটকানো সিদ্ধ কড়াইশুঁটি, জ্যাম, গুড় ইত্যাদি বহু প্রকারের পুর ব্যবহার করা যায় এবং পুরগুলির অধিকাংশই বিচিত্র মশলার স্বাদে গন্ধে বৈচিত্রপূর্ণ।

পরোটার উপকরণ: 

  • ৪ কাপ আটা, 
  • কিংবা ২/৩ কাপ আটা এবং ১/৩ কাপ ময়দার মিশ্রণ; 
  • আধ টেবল চামচ নুন; 
  • ১ কাপ মিঃ ১/৩ কাপ ঈষদুষ্ণ গরম জল; 
  • পরোটা বেলার জন্য কিছু শুকনো আটা।

ফুলকপি পুরের উপকরণ: 

  • ৩ টেবল চামচ ঘিঃ ২ টেবচ চামচ খোসা ছাড়ানো আদা কুচি; 
  • পৌনে ৩ কাপ ফুলকপি কুচি; 
  • ছোট ২ চামচ গরম মশলা; 
  • ছোট সিকি চামচ সিমলা মরিচের গুড়া; 
  • ছোট সোয়া চামচ নুন; 
  • ভাজার জন্য ২/৩ কাপ তেল।

প্রস্তুত পদ্ধতি:

১। একটি পাত্রে নুন এবং আটা-ময়দা মিশ্রিত করুন। তাতে ঘি ঢেলে মাখুন। প্রথম দিকে একটু বেশি জল ঢেলে একটি দলার মতো করুন। পরে ধীরে ধীরে জল ঢেলে দলাটি মোটামুটি নরম করুন। এবার খুব ভাল করে মাখুন। দলাটি খুব মোলায়েম হলে তার উপরে সামান্য তেল বা ঘি মেখে ভিজা গামছা দিয়ে ৩ ঘন্টা ঢেকে রাখুন।

২। অন্য একটি পাত্রে মাঝামাজি আঁচে ঘি গরম করে আদা ফোড়ন দিন। তাতে ফুলকপি কুচি মিশিয়ে নেড়েচেড়ে ভাজুন। ভাজা ভাজা হয়ে এলে গরম মশলা, সিমলা মরিচের গুড়া এবং নুন মেশান। নেড়েচেড়ে আঁচ থেকে নামান। এই পুরটিকে ১০ ভাগে ভাগ করুন।

৩। এবার আটার তালটি থেকে ১০ খানা বল তৈরী করুন। হাতের তালুতে মসৃণ করে নিয়ে সামান্য শুকনো আটার সাহায্যে চাপাটির মতো করে পরোটা বেলুন। পারোটার গায়ে বেশি শুকনো আটা লেগে থাকলে ভাজার সময় সেগুলি পুড়ে খারাপ গন্ধ ছড়াবে। রুটিগুলি যেন গোল এবং সমতল হয়। একটি রুটি নিয়ে তার চারপাশের কিনারে সামান্য জল লাগিয়ে নিন।

৪। কিনারে জল লাগানো রুটিটির মাঝখানে সমতলভাবে ফুলকপি পুর বিছিয়ে দিন। পুর যেন খুব কিনারে না আসে। আর একটি চাপাটি নিয়ে তার উপর বিছিয়ে আলতোভাবে চেপে চেপে বাতাস বের করুন। কিনারটা টিপে টিপে দুটো চাপাটি জোড়া লাগিয়ে দিন। কিনারটা যদি বেশি বেরিয়ে থাকে, ছুরি দিয়ে কেটে খানিকটা বাদ দিতে পারেন। একই নিয়মে সব পরোটা বানিয়ে আলাদা আলাদা করে বিছিয়ে রাখুন।

৫। মাঝামাঝি আঁচে তাওয়া গরম করুন। একটু ঘি ছিটিয়ে দিন। তাওয়াতে এক ফোটা জল ফেলে যদি দেখেন যে জলটা লম্ফঝম্প করে শুকিয়ে যায়, তবে বুঝবেন তাওয়া প্রস্তুত। এবার সতর্কভাবে পরোটা বিছান। দেড় মিনিট ভেজে ছোট এক চামচ ঘি ছিটান। এক পাশে দু' তিন মিনিট ভেজে পাশ ফিরিয়ে আরও ছোট এক চামচ ঘি দিন। আরও দু'মিনিট ভাজুন। মাঝে মধ্যে হাতল দিয়ে সামান্য চাপ দিলে পরোটা কিছুটা ফুলবে।

সামান্য বাদামী হলে নামিয়ে ফেলুন। অনুরূপভাবে সব পরোটা ভেজে চাটনী সহযোগে

শ্রীকৃষ্ণকে নিবেদন করুন।


Popular posts from this blog

শ্রীগুরু বন্দনা

প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ

শ্রীশ্রীগৌর-আরতি