কৃষ্ণ হৈতে চতুর্মুখ
শ্রীশ্রীগুরু-পরম্পরা
কৃষ্ণ হৈতে চতুর্মুখ,
হয় কৃষ্ণসেবোন্মুখ
ব্রহ্মা হইতে নারদের মতি।
নারদ হৈতে ব্যাস,
মধ্ব কহে ব্যাসদাস,
পূর্ণপ্রজ্ঞ পদ্মনাভ গতি ১৷
নৃহরি মাধব-বংশে,
অক্ষোভ্য-পরমহংসে,
শিষ্য বলি' অঙ্গীকার করে।
অক্ষোভ্যের শিষ্য জয়-
তীর্থ নামে পরিচয়,
তাঁর দাস্যে জ্ঞানসিন্ধু তরে।২।
তাঁহা হৈতে দয়ানিধি,
তাঁর দাস বিদ্যানিধি,
রাজেন্দ্র হইল তাঁহা হৈতে।
তাঁহার কিঙ্কর জয়-
ধর্ম নামে পরিচয়,
পরম্পরা জান ভালমতে।।
জয়ধর্মদাস্যে খ্যাতি,
শ্রীপুরুষোত্তম যতি,
তা' হতে ব্রহ্মণ্যতীর্থ-সুরি।
ব্যাসতীর্থ তাঁর দাস,
লক্ষ্মীপতি ব্যাসদাস,
তাহা হইতে মাধবেন্দ্রপুরী ।।
মাধবেন্দ্রপুরীবর,
শিষ্যবর শ্রীঈশ্বর,
নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত বিভু।
ঈশ্বরপুরী কে ধন্য,
করিলেন শ্রীচৈতন্য,
জগদ্গুরু গৌর-মহাপ্রভু ।।
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য,
রাধাকৃষ্ণ নহে অন্য,
রূপানুগজনের জীবন।
বিশ্বম্ভর প্রিয়ঙ্কর,
শ্রীস্বরূপ দামোদর,
শ্রীগোস্বামী রূপ-সনাতন ।।
রূপপ্রিয় মহাজন,
জীব-রঘুনাথ হন,
তাঁর প্রিয় কবি কৃষ্ণদাস।
কৃষ্ণদাস প্রিয়বর,
নরোত্তম সেবাপর,
যাঁর পদ বিশ্বনাথ আশ ।।
বিশ্বনাথ ভক্তসাথ,
বলদেব জগন্নাথ,
তাঁর প্রিয় শ্রীভক্তিবিনোদ।
মহাভাগবতবর,
শ্রীগৌরকিশোরবর,
হরিভজনেতে যাঁর মোদ ।।
শ্রীবার্ষভানবীবরা
সদা সেব্যসেবাপরা,
তাঁহার দয়িত দাস নাম।
তাঁর প্রধান প্রচারক
শ্রীভক্তিবেদান্ত নাম,
পতিতজনেতে দয়া ধাম ।।
তাঁ সবার পাদপদ্ম,
ভকত-জনের সপ্ন,
সেই মোর একমাত্র ঠাম।
এই সব হরিজন,
গৌরাঙ্গের নিজজন,
তাঁদের উচ্ছিষ্টে মোর কাম ।।