বড়-কৃপা কৈলে কৃষ্ণ অধমের প্রতি

 মার্কিনে ভগবৎ-ধর্ম


বড়-কৃপা কৈলে কৃষ্ণ অধমের প্রতি। 

কি লাগি আনিলে হেথা করো এবে গতি ।। 

আছে কিছু কার্য তব এই অনুমানে। 

নহে কেন আনিবেন এই উগ্রস্থানে ।। 

রজস্তমো গুণে এরা সবাই আচ্ছন্ন। 

বাসুদেব-কথা রুচি নহে সে প্রসন্ন ।। 

তবে যদি তব কৃপা হয় অহৈতুকী। 

সকলই সম্ভব হয় তুমি সে কৌতুকী ।। 

কি ভাবে বুঝালে তারা বুঝে সেই রস। 

এত কৃপা করো প্রভু করি নিজ-বশ ।। 

তোমার ইচ্ছায় সব হয় মায়া-বশ।

তোমার ইচ্ছায় নাশ মায়ার পরশ ।।

তব ইচ্ছা হয় যদি তাদের উদ্ধার।

বুঝিবে নিশ্চয়ই তবে কথা সে তোমার ।।

ভাগবতের কথা সে তব অবতার।

ধীর হইয়া শুনে যদি কাণে বার বার ।।

শৃণ্বতাং স্বকথাঃ কৃষ্ণঃ পুণ্যশ্রবণকীর্তনঃ।

হৃদ্যন্তঃস্থো হ্যভদ্রাণি বিধুনোতি সুহৃৎসতাম্ ।।

নষ্টপ্রায়েম্বভদ্রেষু নিত্যং ভাগবতসেবয়া।

ভগবত্যুত্তম শ্লোকে ভক্তির্ভবতি নৈষ্ঠিকী ।।

তদা রজস্তমোভাবাঃ কামলোভাদয়শ যে।

চেত এতৈরনাবিদ্ধং স্থিতং সত্ত্বে প্রসীদতি।।

এবং প্রসন্নমনসো ভগবদ্ভক্তিযোগতঃ ।

ভগবত্তত্ত্ববিজ্ঞানং মুক্তসঙ্গস্য জায়তে।।

ভিদ্যতে হৃদয়গ্রন্থিশ্ছিদ্যন্তে সর্বসংশয়াঃ। 

ক্ষীয়ন্তে চাস্য কর্মাণি দৃষ্ট এবাত্মনীশ্বরে ।।

রজস্তমো হ'তে তবে পাইবে নিস্তার। 

হৃদয়ের অভদ্র সব ঘুচিবে তাহার ।। 

কি করে বুঝাবো কথা বর সেই চাহি। 

ক্ষুদ্র আমি দীন হীন কোন শক্তি নাহি ।। 

অথচ এনেছ প্রভু কথা বলিবারে। 

যে তোমার ইচ্ছা প্রভু করো এইবারে ।। 

অখিল জগৎ-গুরু! বচন সে আমার। 

অলঙ্কৃত করিবার ক্ষমতা তোমার ।।

তব কৃপা হ'লে মোর কথা শুদ্ধ হবে। 

শুনিয়া সবার শোক-দুঃখ যে ঘুচিবে ।। 

আনিয়াছ যদি প্রভু আমারে নাচাতে। 

নাচাও নাচাও প্রভু নাচাও সে-মতে ।। 

কাষ্ঠের পুতুল যথা নাচাও সে-মতে। 

ভক্তি নাই বেদ নাই নামে খুব বড়। 

'ভক্তিবেদান্ত' নাম এবে সার্থক কর ।।

--শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ

Popular posts from this blog

শ্রীগুরু বন্দনা

প্রথম অধ্যায়- অর্জুন বিষাদ-যোগ

শ্রীশ্রীগৌর-আরতি