হরিনাম দীক্ষার পূর্বানুশীলন
হরিনাম দীক্ষার পূর্বানুশীলন
১। শ্রীগুরু চরণাশ্রয়ের মানপত্র ছয় মাস বা তার আগে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ২। এক বছর বা তার বেশী থেকে চারটি নিয়ম যথা- আমিষ আহার (মাছ, মাংস, ডিম, রসুন, পিঁয়াজ, মসুর ডাল), নেশা (বিড়ি, পান, তামাক, চা, কফি, নী), দৃতি ক্রীড়া (তাস, পাশা, লটারী, জুয়া) এবং তাবেধ পুরুষ ও স্ত্রীসঙ্গ ইত্যাদি বর্জনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।
৩। একবছর নিয়মিত ভাবে ১৬ মালা করে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ অভ্যাস করা।
৪। নিয়মিত ভাবে সুর্যোদয়ের পূর্বে স্নান বা শুদ্ধতা বজায় রাখা এবং পরে মঙ্গল আরতি করা বা তাতে যোগদান।
৫। ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ সেবা করা (রান্নার ব্যক্তি যেন দীক্ষিত বা নিরামিষাশী হয়)।
৬। নিজগুরুদেবের আর শ্রীল প্রভুপাদের নাম ও প্রণাম মন্ত্র জানা ।
৭। বেদিতে রাখা পরম্পরা গুরুদের চিনতে ও তাদের নাম জানা ।
৮। বিষ্ণু তিলক ধারণের স্থান ও বিষ্ণু নাম সমূহ জেনে, নিয়মিত তিলক ধারণ করা।
৯। কম পাক্ষ সপ্তাহে একদিন আপনার নিকট বর্ত্তী ইস্কনের মন্দির বা ইস্কন অনুমোদিত হরেকৃষ্ণ নামহট্ট সংঘে যোগদান করা এবং কিছু সেবা করতে সচেষ্ট হওয়া।
১০। শ্রীল প্রভুপাদের কয়েকটি গ্রন্থ অন্ততঃ একবার পাঠ শেষ করতে হবে, যেমন (ভগবদগীতা যথাযথ, যুগাচার্য শ্রীল পণ্ডুপাদ, মহাপ্রভুর জীবনী ও শিক্ষা, ভক্তি রসামৃত সিন্ধুর প্রথম ভাগ)।
১১। বৈষ্ণব অপরাধ ও অগঠন মূলক উপহাস এড়িয়ে চলতে হবে। ১২। বৈষ্ণব মত বিরোধী কোন পেশা বা কার্যকলাপ, (যেমন আমিষ ও মাদক জাতীয় দ্রব্যের বিক্রি ও মৎস্য মাংসের রান্না, চা, কফি তৈরী আর পরিবেশন এবং ডাক্তার হোলে ভ্রুণ হত্যা ইত্যাদি) না করা।
১৩। ইস্কন অনুমোদিত ভক্তদের প্রচার এবং ভাষণ শ্রাবণে সংকল্প করা। ১৪। নিয়মিত ভাবে তুলসী বৃক্ষে জল দান, পরিক্রমা ও প্রণাম করা।
১৫। একাদশী ব্রত পালন করা।
১৬। নিয়মিত শ্রীগুরুদেবের চরণে পুষ্প দেওয়া ।
১৭। সংসার দাবানল, শ্রীগুরুচরণ পদ্ম, তুলসী ও গৌর আরতি কীৰ্ত্তন গুলি জানা।
১৮। মহাপ্রভু, শ্রীকৃষ্ণ, রাধারাণী, তুলসী ও বৈষ্ণবের প্রণাম মন্ত্র আনা।
১৯। আরতি করার পদ্ধতি গুলি শিখা।
২০। যদি গৃহস্থ হনঃ গৃহস্থ জীবনের নিয়ম কানুন জেনে, ব্যক্তিগত ভাবে সেগুলি মেনে চলা এবং কৃষ্ণভাবনা অনুসারে সন্তানাদি পালন করা।