Posts

আত্মনিবেদন, তুয়া পদে করি'

Image
আত্মনিবেদন, তুয়া পদে করি আত্মনিবেদন, তুয়া পদে করি', হইনু পরম সুখী। দুঃখ দূরে গেল, চিন্তা না রহিল  চৌদিকে আনন্দ দেখি ॥১৷৷  অশোক অভয়, অমৃত-আধার, তোমার চরণদ্বয়। তাহাতে এখন, বিশ্রাম লভিয়া,  ছাড়িনু ভবের ভয় ।।২৷৷  তোমার সংসারে, করিব সেবন,  নহিব ফলের ভাগী।  তব সুখ যাহে, করিব যতন, হ'য়ে পদে অনুরাগী ।।৩ ।।  তোমার সেবায়, দুঃখ হয় যত,  সেও ত' পরম সুখ।  সেবা-সুখ-দুঃখ, পরম সম্পদ,  নাশয়ে অবিদ্যা-দুঃখ ।।৪৷৷  পূর্ব ইতিহাস, ভুলিনু সকল,  সেবা-সুখ পে'য়ে মনে।  আমি ত' তোমার তুমি ত' আমার,  কি কাজ অপর ধনে ।।৫৷৷  ভকতিবিনোদ আনন্দে ডুবিয়া তোমার সেবার তরে।  'সব চেষ্টা করে, তব ইচ্ছা-মত থাকিয়া তোমার ঘরে ।।৬৷৷ 

নিতাই গুণমণি আমার, নিতাই গুণমণি

Image
শ্রীনিত্যানন্দের গুণ বর্ণনা নিতাই গুণমণি আমার, নিতাই গুণমণি।  আনিয়া প্রেমের বন্যা ভাসাইল অবনী ।।  প্রেমের বন্যা লইয়া নিতাই আইল গৌড়দেশে।  ডুবিল ভকতগণ দীন-হীন ভাসে ।।  দীন-হীন-পতিত-পামর নাহি বাছে।  ব্রহ্মার দুর্লভ প্রেম সবাকারে যাচে ।।  আবদ্ধ করুণা-সিন্ধু (নিতাই) কাটিয়া মুহান।  ঘরে ঘরে বুলে প্রেম অমিয়ার বান ।।  লোচন বলে মোর নিতাই যেবা না ভজিল।  জানিয়া শুনিয়া সেই আত্মঘাতী হৈল ।।

তুমি সর্বেশ্বরেশ্বর, ব্রজেন্দ্রকুমার

Image
শরণা গতি  তুমি সর্বেশ্বরেশ্বর, ব্রজেন্দ্রকুমার।  তোমার ইচ্ছায় বিশ্বে সৃজন সংহার ।।১৷৷  তব ইচ্ছামত ব্রহ্মা করেন সৃজন।  তব ইচ্ছামত বিষ্ণু করেন পালন ।।২।।  তব ইচ্ছামতে শিব করেন সংহার।  তব ইচ্ছামতে মায়া সৃজে কারাগার ।।৩।।  তব ইচ্ছামতে জীবের জনম-মরণ।  সমৃদ্ধি-নিপাত দুঃখ সুখ-সংঘটন ।।৪৷৷  মিছে মায়াবদ্ধ জীব আশাপাশে ফিরে'।  তব ইচ্ছা বিনা কিছু করিতে না পারে ।। ৫ ।।  তুমি ত' রক্ষক আর পালক আমার।  তোমার চরণ বিনা আশা নাহি আর ।।৬৷৷  নিজ-বল-চেষ্টা-প্রতি ভরসা ছাড়িয়া।  তোমার ইচ্ছায় আছি নির্ভর করিয়া ।।৭৷৷  ভকতিবিনোদ অতি দীন অকিঞ্চন।  তোমার ইচ্ছায় তা'র জীবন মরণ ।। ৮।।

ধর্মপথে থাকি' কর জীবন যাপন, ভাই

Image
ধর্মপথে থাকি' কর জীবন যাপন, ভাই ধর্মপথে থাকি' কর জীবন যাপন, ভাই।  হরিনাম কর সদা (ওরে ও ভাই) হরিনাম বিনা বন্ধু নাই।  যে-কোন ব্যবসা ধরি', জীবন নির্ব্বাহ করি',  বল মুখে 'হরি হরি', এই মাত্র ভিক্ষা চাই।।  গৌরাঙ্গচরণে মজ', অন্য-অভিলাষ ত্যজ,  ব্রজেন্দ্রনন্দনে ভজ, তবে বড় সুখ পাই।।  আমি চাঁদ-বাউল দাস, করি তব কৃপা-আশ,  জানাইয়া অভিলাষ, নিত্যানন্দ-আজ্ঞা গাই।।

আমি তোমার দুঃখের দুঃখী, সুখের সুখী

Image
বাউল-সঙ্গীত   আমি তোমার দুঃখের দুঃখী, সুখের সুখী,  তাই তোমারে বলি, ভাই রে।  নিতাই-এর হাটে গিয়ে (ওরে ও ভাই)  নাম এনেছি তোমার তরে।।  গৌরচন্দ্র-মার্কা করা, এ হরিনাম রসে ভরা,  নামে নামী পড়ছে ধরা, লও যদি বদনভরে।।  পাপ-তাপ সব দূরে যা'বে, সারময় সংসার হ'বে,  আর কোন ভয় নাহি র'বে, ডুবে সুখের পাথারে।।  আমি কাঙ্গাল অর্থহীন, নাম এনেছি করে' ঋণ,  দেখে' আমায় অতি দীন, শ্রদ্ধামুল্যে দেও ধরে'।।  মূল্য ল'য়ে তোমার ঠাঁই, মহাজনকে দিব, ভাই,  যে কিছু তায় লাভ পাই, রাখবো নিজের ভাণ্ডারে।।  নদীয়া-গোদ্রুমে থাকি', চাঁদ-বাউল বলিছে ডাকি,  'নাম বিনা আর সকল ফাঁকি, ছায়াবাজী এ সংসারে'।।

নিতাই নাম হাটে, ও কে যাবিরে ভাই আয় ছুটে

Image
নামহট্ট গীত  নিতাই নাম হাটে, ও কে যাবিরে ভাই আয় ছুটে  এসে পাষণ্ড জগাই মাধাই দুজন সকল হাটের মাল  নিলে লুটে।।  হাটের অংশী মহাজন, শ্রীঅদ্বৈত, সনাতন,  ভান্ডারী শ্রীগদাধর পন্ডিত বিচক্ষণ।  আছেন চৌকিদার আদি, হলেন শ্রীসঞ্জয় শ্রীশ্রীধর মুটে ।।  দালাল কেশব ভারতী, শ্রীবিদ্যাবাচস্পতি,  পরিচারক আছেন কৃষ্ণদাস প্রভৃতি  হন কোষাধ্যক্ষ শ্রীবাস পন্ডিত, ঝাড়ুদার কেদার জুটে।।  হাটের মূল্য নিরূপণ, নয় ভক্তি প্রকরণ,  প্রেম হেন মুদ্রা সর্ব্বসার সংযমন নাই কমি বেশী সমান।  ও জন রে, সব এক মনে বোঝায় উঠে ।।  এই প্রেমের উদ্দেশ, একসাধু উপদেশ,  সুধাময় হরিনামরূপ সুসন্দেশ, এতে বড় নাই রে দ্বেষাদ্বেষ,  খায় একপাতে কাণাকুঠে।। 

বড় সুখের খবর গাই

Image
দালালের গীত  বড় সুখের খবর গাই।  সুরভি-কুঞ্জেতে নামের হাট খুলে'ছে খোদ নিতাই ।।  বড় মজার কথা তায়।  শ্রদ্ধামূল্যে শুদ্ধনাম সেই হাটেতে বিকায় ।।  যত ভক্তবৃন্দ বসি'।  অধিকারী দেখে' নাম বেছে দর কষি' ।।৩  যদি নাম কিনে, ভাই।  আমার সঙ্গে চল, মহাজনের কাছে যাই ।।8  তুমি কিম্বে কৃষ্ণনাম।  দস্তুরি লইব আমি, পূর্ণ হ'বে কাম ।।৫  বড় দয়াল নিত্যানন্দ।  শ্রদ্ধামাত্র ল'য়ে দেন পরম-আনন্দ ।।৬  একবার দেখলে চক্ষে জল।  'গৌর' বলে' নিতাই দেন সকল সম্বল ।।৭  দেন শুদ্ধ কৃষ্ণশিক্ষা।  জাতি, ধন, বিদ্যা, বল না করে অপেক্ষা ।।৮ অমনি ছাড়ে মায়াজাল।  গৃহে থাক, বনে থাক, না থাকে জঞ্জাল ।।৯  আর নাইকো কলির ভয়। আচন্ডালে দেন নাম নিতাই দয়াময় ।।১০ ভক্তিবিনোদ ডাকি' কয়।  নিতাই-চরণ বিনা আর নাহি আশ্রয় ।।১১